জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত ঝিনাইদহ সরকারি কেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবাসের মলযুক্ত ময়লা পানির দুগর্ন্ধে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে পুলিশ বক্সে বসে কোন ট্রাফিক ও পুলিশ সদস্য ডিউটি করতে পারছেন না। তাজা পায়খানার বিশ্রী গন্ধে মানুষ নাকে রুমাল দিয়ে চলাফেরা করছে। শনিবার দুপুরে সরেজমির পরিদর্শন করে দেখা গেছে কেসি কলেজের বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ছাত্রাবাসের চারিদিকে ময়লা পানিতে সয়লাব। বিশেষ করে ছাত্রাবাসের সামনের অংশে যে খানে পুলিশ বক্স অবস্থিত সেখানে প্রাচিরের পাশে ময়লা পানি জমে আছে। ছাত্রবাসের ট্যাংকি উপচে পানি রাস্তায় প্রবাহিত হচ্ছে। সব ট্যাংকি ভরে গেছে। ছাত্ররাও দুগর্ন্ধে পড়ালেখা করতে পারছে না।
অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রবাসটি নির্মাণের পর থেকে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে গোসলের পানি ও টয়লেটের পানিতে একাকার হয়ে যাচ্ছে। গত আষাড় মাস থেকেই ছাত্রাবাসের পানি একের পর এক বের হয়ে রাস্তায় আসলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ পৌরসভার দিকে তাকিয়ে আছে। অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান দিয়ে ড্রেনের কাজ করাতে পারতো। তাছাড়া কলেজ ফান্ড থেকে তারা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে পারলেও তা না করে ট্যাংকি পরিস্কার করেই দায় এড়িয়ে যাচ্ছে।
ট্রাফিক সার্জেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা দুগর্ন্ধে ঠিকমতো পুলিশ বক্সে বসতে পারছি না। পুলিশ ভাইয়েরা ও পথচারীরা খুব কষ্টে আছেন।
পথচারী গোলাম রসুল বলেন, আমরা কেসি কলেজের হোস্টেলের পাশে যখন যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তখন উৎকট গন্ধে বমি ঠেলে আসছিল।
বিষয়টি নিয়ে কেসি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও হোস্টেল সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, এক মাস আগে আমরা ট্যাংকি পরিস্কার করেছি। স্থায়ী ড্রেন না থাকায় কোন সুরাহা হচ্ছে না। এ জন্য পানি সরছে না। তিনি বলেন, ড্রেন করার জন্য পৌরসভাকে বলা হয়েছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।