জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি >>
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামে প্রায় ৪০ মণ ওজনের ‘বীর বাহাদুর’কে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছে ওই বাড়িতে। তার সঙ্গে সেলফি ওঠানোরও হিড়িক পড়েছে। অনেকে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করছেন। ‘বীর বাহাদুর’ ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামের মৃত. শাবাজ উদ্দিনের ছেলে আতিয়ার রহমানের ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকার পাইকারি গরু ব্যবসায়িরা ‘বীর বাহাদুর’ ষাড়ের দাম হেঁকেছেন ১৮ লাখ টাকা।
তবে আতিয়ার রহমান বলছেন, ‘বীর বাহাদুর’ ষাঁড়টিকে ২২ লাখ টাকায় বিক্রির ইচ্ছে আছে তার। আতিয়ার রহমান জানান, ‘বীর বাহাদুর’ আমাদের পরিবার তথা গ্রামের খুব আদরের একটি ষাঁড়। সেকারণে সবকিছুই আমি নিজ হাতেই করার চেষ্টা করি। খাবার দেওয়া, ময়লা পরিষ্কার, গোসল দেওয়া সবই আমি নিজে করি। তবে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য আমার স্ত্রী জ্যোতি আফরিন রয়েছেন। ‘বীর বাহাদুর’ অনেক বড় হওয়ায় সব কাজ একা করতে পারি না। তাই সব সময় আমার স্ত্রী জ্যোতি আফরিনের সহযোগিতা নিতে হয়। তাদের চিকিৎসা, তাপমাত্রা ঠিক রাখাসহ সর্ব বিষয়ে সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকতে হয়।’
তিনি আরো জানান, তিন বছর আগে ‘বীর বাহাদুর’কে চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা বাজার থেকে খরিদ করে নিয়ে আসি। সব সময় পরিমিত খাবার আর যত্ন করে ‘বীর বাহাদুর’ ষাঁড়টিকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন তিনি।
আতিয়ার রহমান বলেন, ‘বীর বাহাদুর’কে কিনতে পাইকারি গরু ব্যবসায়িরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ টাকা দাম বলেছেন তারা। আমি আরেকটু অপেক্ষা করছি। প্রয়োজনে হাটে উঠাবো এবং ২২ লাখ টাকা দাম চাইবো। সেক্ষেত্রে কিছু কম হলেও বিক্রি করে দেবো। ‘বীর বাহাদুর’ এর পেছনে এখন পর্যন্ত আমার ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন প্রতিদিন ‘বীর বাহাদুর’ এর খাবারের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ২ হাজার টাকা করে।’ তাছাড়া ‘বীর বাহাদুর’ এর জন্য আমার নিজ বাড়ির আঙিনায় ১০ কাঠা জমিতে কচি সবুজ ঘাষের চাষ করেছি। সেখান থেকে ঘাষ ও ভূসি মাখিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়। তবে ‘বীর বাহাদুর’কে কখনোই মোটা তাজাকরণ খাবার বা ঔষধ প্রয়োগ করি নাই।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ আহমেদ ও সারজুল ইসলাম জানান, ‘ আতিয়ার রহমান গরুর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি নাম ধরে ডাক দিলেই গরু বুঝতে পারে। মালিক যে নির্দেশ দেন সেটাই সে পালন করে। এই ‘বীর বাহাদুর’ আমাদের গ্রামকে অনেক এলাকার মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন ‘বীর বাহাদুর’কে দেখতে।’
ঝিনাইদহ শহর থেকে আসা দর্শনার্থী মনিরুল ইসলাম ও তৈয়ব আলী জানান, ‘আমাদের এলাকার অনেকে ‘বীর বাহাদুর’কে দেখে গিয়ে গল্প করছিলেন। এই গল্প শুনে আমিও এসেছি। গরুটি দেখে গরু মনে হয়নি, মনে হয়েছে এটি একটি হাতি। জীবনেও এমন গরু দেখিনি।’
এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বিশ্বাস জানান, আমি ‘বীর বাহাদুর’ ষাঁড়টিকে দেখতে গিয়েছিলাম। গরুটির ওজন ৪০ মণের বেশি হবে বলে ধারণা করছি। ঈদ আসতে এখনও কিছুদিন বাকি আছে। এরই মধ্যে আরও কিছু ওজন বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি। তাছাড়া আমার জানামতে ‘বীর বাহাদুর’ ষাড়টিকে ঘাস ও ভূসি মাখিয়ে খাওয়ানো হয়। আমি জানি ‘বীর বাহাদুর’ ষাঁড়টিকে মোটা- তাজাকরণ খাবার বা ঔষধ প্রয়োগ করা হয়নি। উল্লেখ্য, যে কেউ আতিয়ার রহমানের ঔষধ বিহীন ‘বীর বাহাদুর’ ষাড়টিকে ক্রয় করতে ০১৭২৫-১৮৩৭৩১ ও ০১৭২৬-৮৭৩৬০৩ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।