আবু সায়েম মোহাম্মদ সা'-আদাত উল করীম:
জামালপুরে বাবার কবরে শায়িত হলেন করোনায় মৃত বিচারক ফেরদৌস আহমেদ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ভোলা ও লালমনিরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) ফেরদৌস আহমেদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জামালপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: আবদুর রাজজাক এর তত্ত্বাবধানে ইফা গঠিত জেলা কমিটির মাধ্যমে কাফন-দাফনের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
২৫ জুন,২০২০ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জামালপুর শহরে তার নিজ এলাকায় দেওয়ানপাড়া ট্রেনিস ক্লাব মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহরের কেন্দ্রীয় পৌর গোরস্থানে তাকে তার বাবার কবরেই তার মরদেহ দাফন করা হয়।
জানাজায় জামালপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপি অংশ নেন। বিচারক ফেরদৌস আহমেদ জামালপুর জিলা স্কুল ও জামালপুর পৌরসভা কার্যালয়ে নিকট আমলাপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি জামালপুর জিলা স্কুলের সাবেক কৃতী শিক্ষার্থী ছিলেন।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৪ জুন) রাত ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিচারক ফেরদৌস আহমেদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। দেশে এটাই প্রথম কোনো বিচারকের মৃত্যু। সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত দেশে নিম্ন আদালতের কমপক্ষে ১৬ জন বিচারক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ফেরদৌস আহমেদ মারা গেলেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বিচারক ফেরদৌস আহমেদকে প্লাজমাও দেওয়া হয়।’
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের মঙ্গলবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অধস্তন আদালতের ২৬ জন বিচারক ও ৯৭জন কর্মচারী (সুপ্রিম কোর্টের ২৬ জন ও অধস্তন আদালতের ৭১ জন) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিচারক ফেরদৌস আহমেদের মৃত্যুতে জামালপুরে সর্বস্তরে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।