আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম: জামালপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা মামলায় ৪ জন আসামির যাবজ্জীবন সাজা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ৩ ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই বাহার উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। ১৫ ডিসেম্বর জামালপুর জেলার সদর উপজেলার ৪নং তুলশীর চর ইউনিয়নের চর গারামারা বগারচরের নিজবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী এস.আই শফিউল আলম জানান, আসামিদের প্রতিবেশী ইজ্জত আলী ও আলাল গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হেকমত আলী (নিজে) তার নিজ স্ত্রী রঙমালাকে আপন তিন ভাই নূর মোহাম্মদ ও গ্রেপ্তারকৃত বাহার উদ্দিনসহ অপর এক সহযোগী দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হযরত আলীকে (পিতা সমরেশ উদ্দিন ) সাথে নিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। পরে হেকমত আলী এই মামলার বাদি হয়। পরে আদালতে প্রমাণ হয় মামলার বাদি ও তারা তিন ভাই ও এক সহযোগীই রঙমালার হত্যাকারী।
উল্লেখ্য, এই মামলার আসামি হযরত আলী অনেক আগেই গ্রেপ্তার হয়েছে। বর্তমানে সে কারাগারে আছে। তবে মামলার অন্যতম আসামি দুই সহোদর ভাই হেকমত আলী (রঙমালার হত্যাকারীর) স্বামী ও তার দেবর নূর মোহাম্মদ পলাতক রয়েছেন। আসামি বাহার উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের অভিযানে অংশগ্রহণ করেন এ.এস.আই. জাহাঙ্গীর আলম, এ.এস.আই ফরহাদ হোসেনসহ কনস্টেবল নং (৬৹৭) আশরাফ উদ্দীন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সূত্রে রবিবার ১৫ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় পুলিশ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মৃত বগী শেখের ছেলে বাহার উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। ১৯৯৯ সালের ২ জানুয়ারি জামালপুর সদর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাজাপ্রাপ্ত আসামির বড় ভাইয়ের স্ত্রী, (ভাবী)কে পরিকল্পিতভাবে খুন করে ।
জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ্ শিবলী সাদিক জানান, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বাহার উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।