মামুনুর রশিদ টিটু, ভোলা: চিকিৎসক সঙ্কটে ভেঙ্গে পড়ছে ভোলা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা। ৫৬টি চিকিৎসকের পদ থাকা স্বত্তেও চিকিৎসক রয়েছে মাত্র ১১ জন। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেবা নিতে আসা রোগীরা।
দেশের দক্ষিণ উপকূলীয় জেলা ভোলায় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষে ১৯৬২ সালে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ভোলা সদর হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ভোলাবাসীর সুবিধাথে হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও বাড়েনি চিকিৎসক কিংবা সেবা প্রধানকারী নার্সের সংখ্যা। ৫০ শয্যার চিকিৎসক ও নার্স দিয়েই চলছে ১০০ শয্যার চিকিৎসা সেবা।
বিভিন্ন
বিভাগের পর্যাপ্ত কনসালট্যান্ট তো দূরের কথা, নেই প্রয়োজনীয় মেডিকেল অফিসারও। ঘন্টার
পর ঘন্টা বসে থেকেও দেখা মিলছে না চিকিৎসক ও নার্সদের। ফলে ভোলার প্রত্যন্ত উপজেলা
ও চরাঞ্চল থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দূর্ভোগের কোন সীমা থাকছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটি ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও এখানে প্রতিনিয়ত রোগী ভর্তি থাকেন প্রায় ২ থেকে ৩শ’। পর্যাপ্ত বেড না থাকায় হাসপাতালের বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা সেবা নিতে দেখা গেছে অনেককে। তারপরও চিকিৎসকের অভাবে মিলছে না তাদের সুচিকিৎসা। তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে যে সকল সুযোগ -সুবিধা পাবার কথা তার কিছুই দেয়া হচ্ছে না গরীব ও অসহায় রোগীদের। আর বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন প্রায় ৫ থেকে ৬শ’ রোগী। এতে হিমশিম খেতে হয় কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, অতি শিঘ্রই চিকিৎসক সঙ্কট সমাধান ও হাসপাতালটিকে আড়াইশ’ শয্যায় উন্নীত করার চেষ্টা চলছে।
তবে শুধু
ভোলা সদর হাসপাতালেই নয়, জেলার অন্যান্য উপজেলা হাসপাতাল গুলোরও একই অবস্থা। মাত্র
৫৭ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে ভোলার মোট ৭টি উপজেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।