মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর : সকল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করাসহ চার দফা দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেছে চাকরি প্রত্যাশী যুব প্রজন্ম,রংপুর বিভাগের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজ।
বুধবার (২২ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করে চাকরি প্রত্যাশী ছাত্ররা। তাদের দাবিগুলো হলো- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি, নিয়োগ দু-র্নী-তি ও জা-লি-য়া-তি বন্ধ করে নিয়োগ পরীক্ষার ( প্রিলি ও রিটেন) মার্কসহ ফলাফল প্রকাশ, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা নির্ধারণ এবং সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
এসময় চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, ২০১১ সালের সাধারণ চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৬০ বছরে উন্নীত করা হয়। ১৯৯১ সালে যখন গড় আয়ু ৫৭ বছর ছিল তখন শেষবারের মতো সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। বিগত ৩০ বছরে গড় আয়ু ১৮ বছর বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর হলেও বৃদ্ধি হয়নি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা। এছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও কোটাধারীদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, ২০১৮ সালে ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ছিল পরিস্থিতি অনুযায়ী বাস্তবতার নিরিখে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধিতে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। কিন্তু মাঝে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে প্রায় দুই বছর হারিয়ে গেলেও তিন বছর আগে ছাত্রসমাজকে দেওয়া সেই নির্বাচনী ইশতেহার আজও বাস্তবায়ন হয়নি। করোনাকালে লকডাউন ও আতঙ্কে যাদের চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ, সেইসব চাকুরি প্রত্যাশী লাখ লাখ তরুণও আজ চূড়ান্তভাবে অসহায় ও হতাশাগ্রস্ত। তাই সংবিধান অনুযায়ী চাকুরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এসব চাকরি প্রার্থীরা। অন্যদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।