চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় যৌতুকের দাবিতে মিনা আক্তার (২৫) নামের দুই সন্তানের জননীকে বেধড়ক মারধর ও অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডস্থ পশ্চিম করাইয়া ঘোনা এলাকায় এ অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আক্রান্ত দুই সন্তানের জননী মিনা আক্তার ওই এলাকার ফরিদুল আলমের স্ত্রী এবং সাহারবিল ইউপির ৩নং ওয়ার্ডে রড় মধ্যমপাড়া এলাকার মৃত আবুল কালামের কন্যা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়েছিল। বিবাহের পর ফরিদ-মিনা দম্পতির সুখের সংসার চলছিল। বর্তমানে তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। বিবাহের কয়েক বছর যেতে না যেতে মিনা আক্তারের স্বামী ব্যবসায় পুঁজি দেওয়ার নাম করে স্ত্রীর পিত্রালয় থেকে নতুন করে যৌতুকের টাকা এনে দিতে অমানবিক মারধরসহ নানাভাবে নির্যাতন শুরু করে। হতভাগা স্ত্রী মিনা আক্তার তার পরিবারের সদস্যদের স্বামীর ঘরে সুখের সংসার করার কথা বলে পিতার বাড়ি থেকে ধার দেনা নিয়ে ৫০হাজার টাকা করে দুইবার স্বামী ফরিদ আলমকে এনে হাতে তুলে দেয়। এরপরও স্বামী পুনরায় কিছুদিন যেতে না যেতে আবারও তার স্ত্রী মিনা আক্তারের কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করে মারধর করে আসছিল। পিতৃহারা কন্যা মিনা আক্তার স্বামীর অমানবিক মারধর ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার আত্মীয়- স্বজনকে খবর দিলে তারা মিনা আক্তারকে বাপের বাড়িতে নিয়ে যান। কিছুদিন পরে স্বামী ফরিদুল আলমের বাড়ি থেকে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয়- স্বজন নিয়ে স্ত্রী মিনা আক্তারকে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় সালিশ বিচারের মাধ্যমে নিয়ে যান। ফের একইভাবে যৌতুকের টাকার দাবি নিয়ে স্ত্রী মিনা আক্তারকে স্বামী ফরিদুল আলম মারধর করে নির্যাতন চালায়। শেষ পর্যন্ত তার স্ত্রীর বিয়েতে দেওয়া যাবতীয় স্বর্ণালংকার মিনা আক্তার থেকে কেড়ে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। সর্বশেষ ১৪ মার্চ (রবিবার) সকালে যৌতুকের টাকা এনে দিতে একের পর এক অমানবিক মারধর করতে থাকে পাষণ্ড স্বামী। স্বামীর বেধড়ক মারধরে স্ত্রীর হাতে, রানে, পায়ে ও গলায় গুরুতর জখম হয়। এক পর্যায়ে ওইসময় পাষণ্ড স্বামী তাকে গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টাও চালায় বলে দাবি করেন নির্যাতনের শিকার মিনা আক্তার । পরে নির্যাতনের শিকার মিনা আক্তার তার পরিবার ও আত্মীয়- স্বজনকে খবর দিলে শ্বশুর বাড়ির জিম্মীদশা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি সদস্য ও নির্যাতনের শিকার মিনা আক্তার মামা শহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক। একে একে কয়েবার আমিসহ স্থানীয়ভাবে বসে সমাধানের চেষ্টা করেছি। সর্বশেষ ১৪ মার্চ (রবিবার) সকালে আমার ভাগ্নি মিনা আক্তারকে তার স্বামী যৌতুকের টাকা এনে দিতে মারধর ও পিটিয়ে পুরো শরীরে গুরুতর জখম করলে শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাষণ্ড ও অমানবিক এ নির্যাতনের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কক্সবাজারে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।