চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের চকরিয়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গোপনে মাটিতে ‘পুঁতে’ রাখা একটি মৃত হাতি উদ্ধার করেছে সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ। শনিবার(১৩ নভেম্বর) শেষ বিকেলের দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ছড়াখোলা এলাকা থেকে মৃত হাতিটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বনকর্মীরা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনাঞ্চল উপজেলার হারবাংনের ছড়াখোলা এলাকায় একটি হাতির পাল ধান খেতে আসছিল।তবে ধানের চাষি (মালিক) ধান রক্ষার জন্য বৈদ্যুতিক তার দিয়ে বেষ্টনী দেয়।হাতির পালটির একটি হাতি পাল থেকে আলাদা হয়ে ধান খেতে যাওয়ার পথে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা যায়।পরে ধান খেতের মালিকরা গোপনে হাতিটিকে মাটিতে ‘পুঁতে’ বিষয়টি গোপন করতে চেয়েছিল। শনিবার হঠাৎ মৃত হাতিটির শরীরের একটি অংশ মাটির উপরে ভেসে উঠে।পরে স্থানীয় লোকজন তা দেখতে পেয়ে হারবাং বনবিট কর্মকর্তাদের খবর দিলে তারা হাতিটি উদ্ধার করেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জ র্কমর্কতা শাহীন বিপ্লব বলেন, স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে বনকর্মীরা জানতে পারে একটি হাতির মৃত দেখা যাচ্ছে।এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্হানীয়দের কথার সত্যতা পেয়ে বনকর্মীদের সহযোগিতায় মাটিতে ‘পুঁতে রাখা’ হাতিটি উদ্ধার করি। পরে চকরিয়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ র্কমর্কতা ও ডুলাহাজারা শেখ মুজিব সাফারী পার্কের সহকারী ভেটেরেনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান হাতিটির ময়নাতদন্ত করেছেন।
ডাক্তার জানিয়েছেন,বৈদ্যুতিক শর্ট দিয়ে হাতিটিকে ‘হত্যা’ করা হতে পারে। কারণ শরীরে কোন ‘আঘাতের’ চিহৃ মেলেনি। এ বিষয়ে চকরিয়া থানায় জিডি করা হয়।
তিনি আরো জানান,মৃত হাতিটি পুরুষ এর আনুমানিক বয়স ১৫/১৮বছর হবে।শরীরের ওজন প্রায় দুইটন হবে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার খুটাখালী ইউননিয়নের পূর্ণগ্রাম বনভিট এলাকার হাইথারাঘোনা গ্রামে একটি হাতিকে মাথায় ‘গুলি’ করে ‘হত্যা’ করা হয়। হাতির বয়স আনুমানকি ১২-১৫ বছর। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।