চকরিয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় আদালতের আদেশ অমান্য করে সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক জায়গা জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলায় বিধবা এক নারী, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে বেদড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয়রা আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (১এপ্রিল) সকালের দিকে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডস্থ বাক্কার পাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন, বিএমচর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডস্থ বাক্কার পাড়া এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের স্ত্রী শামসুন নাহার (৫০), তার ছেলে লোহাগাড়া মোস্তফিজুর রহমান কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নুরশেদুল আলম (১৯), তার বড় ভাই মুছলেম উদ্দিন (২৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বাক্কার পাড়া এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের স্ত্রী শামসুন নাহার তার স্বামীর মৃত্যুর পূর্ব থেকে পরিবারে সদস্যদের নিয়ে স্বামীর পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত দখলীয় বসতভিটায় দীর্ঘকাল যাবত ভোগদখল করে বসবাস করে আসছিল। সাম্প্রতিক সময়ে তার বসতভিটার সীমানার জায়গা ও চলাচলের পথের জায়গা জবর-দখল করার চেষ্টায় মেতে উঠেছে ওই এলাকার মৃত কালু মিয়ার ছেলে মোজাহের আহমদ, তার ভাই শামসুল আলম, গুরামিয়া, গোলাম কাদের ছেলে আলী আহমদসহ তাদের আত্মীয়রা। বিধবা শামসুন নাহারের স্বামী মারা যাওয়ার সুবাধে অভিযুক্তরা তার দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জায়গায় জোরপূর্বক জবর-দখলের চেষ্টা চালালে কামাল উদ্দিনের স্ত্রী শামসুন নাহার বাদী হয়ে ওই এলাকার মোজাহের আহমদ তার ভাই শামসুল আলম ও তাদের ছেলেসহ দশজনের নাম উল্লেখ করে গত ২৫ মার্চ ২০২১ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) কক্সবাজার এর আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মতে একটি এম,আর মামলা (নং-৯০৪/২০২১) দায়ের করেন।আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এসিল্যান্ড চকরিয়াকে বিরোধীয় জায়গার সরেজমিন তদন্তপূর্বক মতামতসহ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সাথে বিরোধীয় জায়গায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি'কে) নির্দেশনা দেন। বিরোধীয় জায়গা নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে গত ৩১মার্চ বিকালে মোজাহের আহমদ ও তার ভাইদের নেতৃত্বে জবর-দখল চেষ্টা চালায়। এতে বাধা দিতে গেলে তাদের নানা ধরণের অশ্লীল গালিগালাজ, হুমকি-ধামকি ও দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বসতভিটায় প্রবেশ করে বাড়ির ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে মারধর করে আহত করেন। এ নিয়ে ঘটনার দিন রাতে চকরিয়া থানায় ৪জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শামসুন নাহার।
ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী শামসুন নাহার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগে আরও জানান, তার স্বামীর পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত বসতভিটার জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করে দীর্ঘকাল ধরে ছেলে-মেয়ে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে থাকার পরও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে বৃহস্পতিবার ১এপ্রিল সকালে আমার ভোগদখলীয় জায়গায় দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে রিদুয়ান, মিনহাজ, গুরামিয়া, সাগর, কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজসে বসতভিটায় অনুপ্রবেশ করে পুনরায় জায়গা জবর-দখল চেষ্টা চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলেসহ দুই সন্তানকে বেদড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায়ও মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ভুক্তভোগী শামসুন নাহার জানায়।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে জায়গা জবর-দখলের হামলার ঘটনার বিষয়ে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।