জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি>>
ঝিনাইদহের কৃষকদের স্বপ্ন এখনও পানির নিচে । চারদিকে কেবলই যেন হা-হুতাশ। ধানের ক্ষেত, সবজি, বীজতলাসহ সবই পানিতে তলিয়ে গেছে। রসুন, মরিচ, পেঁয়াজ, সরিষা, গম ও আলু রোপণের পর পনিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব ফসলের ভবিষ্যাত নেই। এভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়ার সামর্থ্য ও অনেক কৃষকের নেই। ফলে দায় দেনায় জড়িয়ে এ বছর পথে বসার উপক্রম হবে কৃষকদের। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য রীতিমতো উদ্বেগজনক। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিতে জেলার ৩ লাখ ৫৬ হাজার কৃষক পথে বসেছে। তাদের চলতি আবাদ মৌসুমে ৪১ হাজার ৫২৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। শত শত হেক্টর জমির পেঁয়াজ ও বোরো ধানের বীজতলা জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে শুরু করার মতো আর্থিক সঙ্গতি অনেকের নেই। এসব কৃষক পরিবারের এখন মাথায় হাত। ফসল না হলে আগামী দিনগুলোতে কীভাবে সংসার চালাবেন এই চিন্তায় অনেকে বিপর্যস্ত।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজি ক্ষেত। সব ধরণের সবজি মিলিয়ে জেলায় ৭৯০২ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে। ফলে এ বছর জেলায় সবজির দাম আরো বৃদ্ধি হতে পারে। এছাড়া ৪২০ হেক্টর জমির বোরো বীজতলা, ৪০০৭ হেক্টর জমির গম, ৯৮৬ হেক্টর জমির আলু, ৭৮৩৮ হেক্টর জমির সরিষা, ৮৩৪২ হেক্টর জমির ভুট্টা ক্ষেত, ৬৪৫ হেক্টর জমির পেঁয়াজ, ১৭৮৫ হেক্টর জমির রসুন, ৬৭৫৫ হেক্টর জমির মসুর, ৪৫৫ হেক্টর জমির মরিচ ও ২৩৯২ হেক্টর জমির আমন ধান ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ভুট্টার ক্ষেত ছাড়া বাকী ফসলগুলো বাঁচার কোন সম্ভাবনা নেই বলে কৃষিবিদরা মনে করেন। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ক্ষতির তালিকা প্রণয়ন করে ঢাকায় পাঠিয়েছি। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা কৃষকদের নানাভাবে সহায়তা করছি। যারা সরকারিভাবে কৃষি উপকরণ পেয়েছিল, কৃষি কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে তাদেরও এই মুহুর্তে কী করণীয় সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ভুট্টার ক্ষেতগুলো তেমন ক্ষতি হবে না। তাছাড়া প্রায় সব ফসলের ক্ষেত কমবেশি ক্ষতির মুখে পড়বে।
উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, এ বছর ঝিনাইদহ জেলায় ১ লাখ ৪ হাজার ৬১২ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছিল। ৯৮% জমির পাকা ধান কাটা শেষ হয়েছিল। কিন্ত যারা গরুর খাবার তৈরীর জন্য মাঠে ধান শুকাচ্ছিল, কেবল তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই ক্ষতির পরিমাণ ২৩৯২ হেক্টর বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।