সোলায়মান হাওলাদার।।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্ত্রীকে ছু*রিকাঘাত করে স্বামীর আ*ত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের তুলারাম গ্রামে।গত ৮ সেপ্টেম্বর স্ত্রী নাজমা বেগমকে অটোরিক্সায় করে ঘুরতে নিয়ে জান স্বামী আল-আমিন গাজী (৪৫)। পানপট্টি ইউনিয়নের র্বাঁশতলা নামক স্থানে গেলে সেখানে স্ত্রীর পেটে ছু*রিকাঘাত করে পালিয়ে যান তিনি।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত নাজমাকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর পরই আল আমিনের অটোরিকশাটি পানপট্টি বোয়ালিয়া ভেড়িবাঁধের পূর্বপাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বিধ্বস্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্ত্রীর ওপর হামলার পর থেকেই আল আমিন নিখোঁজ ছিলেন।
একদিন পর মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয়রা পানপট্টির তুলারাম গ্রামের মিজান মিয়ার ঘেরপাড়ে একটি গাছে আল আমিনের ঝু*লন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, নাজমা বেগমের বাবা জলিল মিস্ত্রী।নাজমা ৭ নং ওয়ার্ডের বাঁশতলা এলাকায় বসবাস করেন । নাজমার এর আগেও দুটি বিয়ে হয়েছিল এবং প্রথম স্বামীর ঘরে তার সজল (২২) নামে এক ছেলে ও তুলি (১৮) নামে এক মেয়ে রয়েছে। প্রায় দুই মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে আল আমিন ও নাজমার বিয়ে হয়। চার বছর আগে কাজের সূত্রে বাগেরহাট থেকে গলাচিপায় এসেছিলেন আল আমিন। পরে নিজ বাড়ি খুলনায় ফিরে গেলেও নাজমার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্রেই তারা বিয়ে করে সংসার শুরু করেন।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আশাদুর রহমান জানান, 'পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরেই আল আমিন তার স্ত্রী নাজমাকে ছু*রিকাঘাত করে পালিয়ে যান।এরপর মঙ্গলবার সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গলাচিপা থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে। আল আমিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর ঘটনার মূল কারণ জানানো হবে বলে তিনি জানান।'
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো. ওমর ফারুক, উপ-সম্পাদক : মুন্সী নাজমুল হোসেন
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিস : শ্রীমদ্দি মোড়ের বাজার, হোমনা, কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।