ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
জামিনে বাড়ী এসে সাক্ষীর বাড়ী -ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিনগত গভীর রাতে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামে। বলাবাড়ীয়া গ্রামের কাহার পাড়ার ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন ও আবাদ আলীর ছেলে সেলিম রেজা অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে রাতে পাড়ার একটি মেয়ের ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় একই পাড়ার গোলাম মোস্তফা কাহারের ছেলে মতিয়ার রহমান কালু। মেয়েটির আর্ত চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে কালু পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়। পরবর্তীতে মতিয়ার রহমান কালু আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। রবিবার কালু জামিনে বের হয়ে এসে সাক্ষীদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। কালু এলাকায় সন্ত্রাসী ও পুলিশের সোর্স হিসাবে পরিচিত। সোমবার দিনগত রাত ১২টার দিকে মতিয়ার রহমান তার বাহিনীর সদস্যের পাঠিয়ে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার সাক্ষী নাজমুলের রান্নাঘর ও গরুর গোয়াল এবং অপর সাক্ষী সেলিম রেজার বিচলী গাদাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় নাজমুল গরুর খাবার দেয়ার জন্য বাইরে বের হলে রনক আলীর ছেলে আনোয়ার, মজনু কাহারের ছেলে রাসেল, মুজিবর কাহারের ছেলে হাফি কাহার, আরশেদ আলীর দুই ছেলে আরিফ ও নয়নকে আগুন দিতে দেখে বলে নাজমুল দাবি করে। এসময় তাদের হাতে ধারালো দা, রড ও লাঠি ছিলো বলে জানায়। ভুক্তভোগী নাজমুল অরো বলেন, তাদের হাতে এমন ধারালো অস্ত্র দেখে সে বাড়ী পিছন দিক থেকে দৌড় দিয়ে আর্ত চিৎকার করতে থাকে। এসময় ওই সকল সন্ত্রাসীরা তার শোবার ঘরে ঢুকে নগদ সাড়ে ৩২ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। নাজমুলের আর্ত চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভায়। আগুলে বিচলী গাদা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। রান্না ঘর ও গোয়াল ঘরের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগুনে একটি গরুর বাছুর সামান্য দগ্ধ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ভুক্তভোগী নাজমূল বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মতিয়ার রহমান কালুর বড় ভাবী বেগম বলেন, আবারো কালুকে জেলে ঢুকানোর জন্য ওরা নিজের ঘরে আগুন লাগিয়ে কালুর দোষ দিচ্ছে।
এব্যাপারে ওই এলাকার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান বলেন, রাতে ঘর ও বিচলী গাদায় আগুন ধরে যাওয়ার কথাটি সত্য। তবে কীভাবে আগুন ধরলো বা কারা ধরালো বুঝতে পারছিনা। ওখানে দুটি পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করছে। তবে ঘটনাটি যাই হোক না কেন কেউ দোষী হলে তার শাস্তি হওয়া উচিত।
কোটচাঁদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, ওখানে দুটি পক্ষ রয়েছে তাদের গোলযোগ লেগেই থাকে। উভয়কে শান্ত থাকতে বলেছি। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত চলছে। তদন্ত অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।