জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহ জেলার কোটাঁদপুর কলেজ মোড়ে প্রাথমিক চক্ষু রোগ নিরাময় কেন্দ্র ও মেইন স্ট্যান্ড থেকে পোস্ট অফিস মোড়ে যেতে প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র দু'টিতে ‘ ডা.কদম আলীর ডিগ্রি নাই’ জাতীয় দুই ব্যক্তি চিকিৎসক দিয়ে যাচ্ছেন। প্রাথমিক চক্ষু রোগ নিরাময় কেন্দ্র রোগী দেখেন ডাঃ সুমন কুমার বালা। আর প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রে রোগী দেখেন মনিরুজ্জামান।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সুমন কুমার বালা প্যারামেডিকেল পড়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৩ মাসের ট্রেনিং নিয়েছেন। অন্যদিকে মনিরুজ্জামান খুলনার শিরোমনি হাসপাতালে ডাক্তারের সহকারী হিসেবে চাকরি করতে গিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। মনিরুজ্জামানের কোন একাডেমিক ডিগ্রি নেই। এই দু’টি চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রের বিজ্ঞাপণ দেওয়া ক্যাবল লাইনে। সেখানে প্রচার করা হয় বিনা অপারেশনে চোখের ছানি অপসারণসহ চটকদার বিজ্ঞাপণ। তারা প্রতিদিন একেক জন ৫০ জন করে রোগী দেখেন। ১০০ টাকার ভিজিটে দেন প্রেসক্রিপশন।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ চক্ষু পূণর্বাসন কেন্দ্র ও চক্ষু হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক ডাঃ শেখ আব্দুল হালিম জানান, হেলথ অ্যাসিস্ট্যাণ্ট কিভাবে প্রেসক্রিপশন লেখে আমার জানা নেই। চোখ একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সামন্য ভুলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
কোটচাঁদপুরের প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রের ডাক্তার মনিরুজ্জামান বলেন, আমি ১১ বছর শিরোমনি হাসপাতালে চাকরি করেছি। ডাক্তারের সাথে কাজ করেছি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই রোগী দেখি। কোন সমস্যা হয় না। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন আমার বিষয়ে জানেন। ডাঃ সুমন কুমার বালা বলেন, আমি প্যারামেডিকেল থেকে ৪ বছরের ডিপ্লোমা করেছি। ট্রেনিং নিয়েছি। আমি এখানে চাকরি করি। আমার সার্টিফিকেট যা আছে সব সঠিক। কিছুতো একটা করতে হবে। আমি এখানে চাকরি করি।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কোটচাঁদপুরের কলেজ স্ট্যান্ডে প্রাথমিক চক্ষু রোগ নিরাময় কেন্দ্রের মালিক ভুমি অফিসের কর্মচারী। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জরুরী জুম মিটিংয়ে থাকায় তিনি বক্তব্য দিতে পারেন নি।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।