দিলীপ কুমার দাস, জেলাপ্রতিনিধি, ময়মনসিংহঃ
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় কুরবানির জন্য ৮৪৬২ টিরও বেশি পশু প্রস্তত রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩৫২টি গরু ও ৪১১০টি ছাগল ও ভেড়া । যার ফলে উপজেলায় কুরবানির পশুর যে চাহিদা রয়েছে তা এই এলাকার খামারীদের পালিত পশু থেকে সংস্থান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে এবং চাহিদার অতিরিক্ত গরু,ছাগল ও ভেড়া ঢাকা-সহ দেশের অন্যান্য এলাকায় বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন হাটে তুলবেন বলে জানিয়েছেন খামারীরা। কিন্তু এখন খামারীদের মধ্যে চাপা আশঙ্কা বিরাজ করছে। কারণ লাম্পি স্কিন নামে নতুন একধরনের ভাইরাস সারাদেশের ন্যায় গোটা উপজেলার অনেক পশুর দেহে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগের নিরাময় সময় সাপেক্ষ হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন খামারীরা। এর ফলে খামারীরা যেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তেমনি ঈদের হাটের সময় সন্নিকটে হওয়ায় আতংকে সময় কাটছে খামারীদের। অন্যদিকে গো খাদ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ খামারীগণ তাদের বিনিয়োগকৃত মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন।
গৌরীপুরের কোরবানির পশু ও লাম্পিস্কিন রোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ নাজিমুল ইসলাম, গৌরীপুর, ময়মনসিংহের সাথে কথা বলে জানা যায়, আসন্ন ঈদুল আযহায় যে পরিমাণ কুরবানির পশুর প্রয়োজন তার চেয়েও বেশি সংখ্যক পশু প্রস্তুত রয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট উপজেলা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার চাহিদা মিটাতে সক্ষম হবে। উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি টিম লাম্পিস্কিন রোগ নিয়ন্ত্রের জন্য ব্যাপকহারে টিকা প্রদানসহ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে সকল খামারীরা যাতে সুস্থ সবল গরু ছাগল কুরবানির পশুর হাটে তুলতে পারেন সেইলক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ। তিনি আশা করেন, সকল খামারী তাদের পালিত পশুর উপযুক্ত মূল্য পাবেন।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।