কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়া কুমারখালির লালন বাজার ও যদুবয়রা এর অধিকাংশ ইট ভাটায় ড্রাম চিমনী ও ব্যারেল এর ব্যবহার হচ্ছে এবং কাঠ পুড়িয়ে করছে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ। এছাড়াও ইটের সরকার নির্ধারিত সাইজ (১০"×৫" ×৩") হবে। কিন্তু বাস্তবে এসব ভাটায় নির্ধারিত সাইজ (১০"×৫" ×৩") এর তুলনায় ছোট ইট তৈরি করা হচ্ছে।
এসব ভাটাগুলোর মধ্যে প্রধানতঃ কুমারখালি ঘাট সংলগ্ন লালন বাজারের AKB Bricks যার মালিক আমিরুল ইসলাম বাবু, মহুয়া ব্রিকস যার মালিক আনোয়ার হোসেন, যদুবয়রার টিজে ব্রিকস যার মালিক ফারুক এবং একই এলাকার এবারের চিমনির নতুন ভাটা সাগর ব্রিকস যার মালিক আলাউদ্দিন আল মামুন যাদের কোন প্রকার অনুমোদন ও বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। এদের নেই কোন পরিবেশের ছাড়পত্র। এরা এখন সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক এধরণের ভাটা অবিলম্বে বন্ধ করা আবশ্যক বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা এবং সচেতন মহল। এধরনের ভাটা কিসের ভিত্তিতে এখনও চলমান আছে তা এখন সাধারণ জনগণের বিস্ময়ের ব্যাপার। তাছাড়াও এসব ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এসব ভাটা অবিলম্বে বন্ধ করা না হলেও পরিবেশ মারাত্মক হুমকির সন্মুখীন হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
গাছ কেটে উজাড় করে সেই কাঠ ব্যবহার হচ্ছে এসব ভাটায়। তাতে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে কাঠ পুড়িয়ে তৈরী হচ্ছে অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইড যেগুলো মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক ও চরম হুমকি স্বরূপ। তাছাড়াও এ ড্রাম চিমনী ব্যবহারের ফলে খুবই কম উচ্চতায় ধোয়া উৎপন্ন হওয়ার কারণে ফসলী জমির ক্ষতি সাধনসহ মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটছে। গ্রাম-গঞ্জের গাছ-গাছালি মারা যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকছে।এতে করে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
এলাকাবাসী, পরিবেশ বাদী সংগঠন এবং সচেতন মহল মনে করেন, এ ধরনের অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ ইটভাটা অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে আমাদের পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হবে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।