ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন সারা দেশ থেকে আগত শিক্ষক-কর্মচারীরা। দিন বাড়ার সাথে সাথে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যাও বাড়ছে।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বলেন, 'সরকারি নিয়মে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা চালু করতে হবে।আমরা আশ্বাসে বিশ্বাসী নই, এখানে( প্রেস ক্লাবে এসে ঘোষণা দিতে হবে ; আপনাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। জাতীয়করণ না করলেও এই ঈদ থেকেই সরকারি নিয়মে ভাতা আর বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা এখানে এসে দিলে আমরা সরে যাবো।'
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রকৌশলী আবুল বাশার, শাহ আলম,মোঃ জহিরুল ইসলাম,সহকারী অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিকী, মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ তোফায়েল সরকার, অধ্যক্ষ আলাউদ্দীন, জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, অধ্যক্ষ আবু সায়েম মোল্লা, উপাধ্যক্ষ নুরুল আলম খান, অধ্যক্ষ রুহুল আমিন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা তাদের দাবি মেনে না নিলে সারাদেশে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মবিরতি, অনশন এবং মাধ্যমিক ও দাখিল পরীক্ষা বর্জনেরও হুমকি দেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষক-কর্মচারীগণ বলেন, “স্বাধীনতার একান্ন বছর পরেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ আর্থিক সুযোগ- সুবিধা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১০০০ টাকা বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ২৫% উৎসব ভাতা পান একজন শিক্ষক। বিশ্বের কোনো দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন বৈষম্য আছে বলে মনে হয় না। এই বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ জরুরি। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফি বাবদ যা আয় হয়, তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে ভর্তুকি ব্যতিরেকেই জাতীয়করণ সম্ভব।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, উপ-সম্পাদক : মুন্সী নাজমুল হোসেন
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিস : শ্রীমদ্দি মোড়ের বাজার, হোমনা, কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।