সম্পাদকীয়ঃ
বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু নির্মান , মেট্রোরেল চালু, মুক্তিযোদ্ধাদের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা প্রদান, ভূমিহীনদের জন্য জায়গাসহ বাড়ি নির্মান, মডেল মসজিদ নির্মান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। অর্থাৎ দেশের প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান করতে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হলো স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা। আর স্মার্ট নাগরিক তৈরি করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন এদেশের শিক্ষক সমাজ। সুতরাং দেশের প্রায় ৫ লক্ষাধিক(৯৭%) এমপিওভুক্ত শিক্ষককে অভুক্ত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান শতভাগ সফল হবে বলে আমরা মনে করি না।
সরকারি- বেসরকারি শিক্ষকদের যোগ্যতা, শিক্ষাক্রম ও কর্মঘণ্টাসহ সকল দায়-দায়িত্ব একই রকম হওয়া সত্ত্বেও আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দেশের এমপিওভুক্ত প্রায় ৫ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মাঝে বিরাজমান বৈষম্যগুলো হলো- সরকারি শিক্ষকরা বাড়ি ভাড়া পান মূলবেতনের ৪০-৫০% আর এমপিওভুক্ত বে শিক্ষকরা পান মাত্র ১ হাজার টাকা, সরকারি শিক্ষকরা মূলবেতনের সমপরিমাণ দু’টি উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান মূলবেতনের ২৫%, সরকারি শিক্ষকরা চিকিৎসা ভাতা পান ১ হাজার ৫শ’ টাকা আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান মাত্র ৫শ’ টাকা। এছাড়াও, সরকারি শিক্ষকদের রয়েছে বদলি, পদোন্নতি ও পেনশন সুবিধা। অথচ এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
সুবিধাবঞ্চিত কয়েক হাজার শিক্ষক গত ২৪ জানুয়ারি২০২৩ খ্রি. তারিখ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন। আজ তাদের অবস্থানে চতুর্থ দিন অতিবাহিত হয়েছে। শিক্ষক নেতারা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হলে সরকারের অতিরিক্ত কোনো অর্থের যোগান দিতে হবে না। বরং সরকারের কোষাগারে প্রতিবছর কিছু টাকা জমা হবে। এছাড়া মানুষ গড়ার কারিগর নামে খ্যাত শিক্ষক সমাজ তাদের (ডাল -ভাতের) ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় অবস্থান করা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন শোভা পায় না। অবস্থান কর্মসূচিতে কী পরিমাণ শিক্ষক জমায়েত হলো তা বিবেচনায় না নিয়ে তাদের দাবির ন্যায্যতা বিবেচনায় নিন। তাই আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রী নিজে শিক্ষক সমাজের কষ্টের কথা উপলব্ধি করতঃ আর দেরি না করে এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা দিন, শিক্ষকদের মাঝে বেঁচে থাকুন চিরদিন। এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে এদেশের খেটে খাওয়া ১৭ কোটি মানুষ যাদের সন্তানেরা স্বল্প বেতনে পড়াশোনা করতে সক্ষম হবে, উজ্জ্বল হবে দেশের ভাবমূর্তি, বাস্তবায়ন হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন, রচিত হবে এক সোনালি ইতিহাস।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।