সম্পাদকীয়ঃ

বেসরকারি এমপিওভুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড-৮ এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-৯ হলেও সম্প্রতি সহকারী শিক্ষকরা দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেড পেয়ে ৮ ম গ্রেডে উপনীত হন। অপরদিকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পূর্বের ৮ম গ্রেডেই রয়ে গেছেন। ফলে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে আর কোনো পার্থক্য থাকল না। অপরদিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন করে আরও একটি বৈষম্যের সৃষ্টি করা হলো। এধরনের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে ।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১১.১০-এ বলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক /প্রদর্শক/ কর্মচারীগণ তাঁদের এমপিওভুক্তির তারিখ হতে ১০ (দশ) বছর সন্তোষজনক চাকরি পূর্ণ হলে পরবর্তী উচ্চতর বেতন গ্রেড প্রাপ্য হবেন। পরবর্তী ৬(ছয়) বছর পর একইভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হবেন। তবে উল্লিখিত স্কেল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একই স্কেলে যথাক্রমে ১০(দশ) বছর ও ৬(ছয়) বছর চাকরি পূর্ণ হতে হবে। সমগ্র চাকরি জীবনে দুটির বেশি উচ্চতর গ্রেড/ টাইম স্কেল (যে নামেই অভিহিত হউক না কেন) প্রাপ্য হবেন না। কোনো শিক্ষক / প্রদর্শক/ কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা থাকলে উচ্চতর স্কেল বিবেচনায় আসবেনা।

এমপিও নীতিমালার এই অনুচ্ছেদটি শিক্ষক/প্রদর্শক/ কর্মচারীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সে মোতাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকের পদটিও শিক্ষকের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ক্ষেত্রে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, সৃষ্টি করা হয়েছে বৈষম্য।আমরা মনে করি, কারা, কেন এ ধরনের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে বিষয়ে অনতিবিলম্বে সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদেরও উচ্চতর গ্রেড প্রদানের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের মাঝে নবসৃষ্ট বৈষম্য দূরীকরণ করা একান্ত জরুরি।