দিলিপ কুমার দাস, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি>>
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৈরাটী আলিম মাদরাসার মৌলভী শিক্ষক শাহজাহান এর ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ দাবি করে মাদরাসা পরিচালানা করায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। তার ইনডেক্স নং-৩৩৭৯৪৭, বেতন কোড-০৯। শিক্ষার মান দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।এই মাদরাসার তৎকালিন সাবেক মৌলভী শিক্ষক মরহুম সুলতান উদ্দিন সাহেবের শূন্য পদে ইতিপূর্বে মোঃ শাহজাহান এই মাদরাসায় ০২-০৫-১৯৯৪ইং তারিখে জুনিয়র মৌলভী পদে যোগদান করেন। ২য় ধাপে জুনিয়র মৌলভী পদ থেকে উচ্চতর স্কেল নিয়ে সহকারী মৌলভী পদে আসীন হয়। ৩য় ধাপে সহকারী মৌলভী পদ থেকে ২২,০০০/- টাকা বেতন প্রাপ্ত হয়। ২০১৬ইং সালের পর মাদরাসার কমিটি না থাকায় ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে উক্ত মাদরাসার অধ্যক্ষ বনে যায় শাহজাহান। তৎসময়ে শাহজাহানের বিষয়টি স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ২০১০ইং সাল থেকে ২০১৬ইং সাল পর্যন্ত (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) হিসেবে হুসাইন আহম্মদ নূরী ও নুরুদ্দিন দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের মাদরাসা শাখা ২ স্মারক নং-৫৭.০০.০০০০.২৭.০৩.২০১৮-৬৫ তারিখ ০৫/০২/২০১৮ইং সালে মহাপরিচালক মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে ইতিপূর্বে মৌলভী শিক্ষক শাহজাহানের সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। মাদরাসার দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে স্বীকৃতি নবায়ন নেই। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধিমালা অনুযায়ী আলিম মাদরাসায় অধ্যক্ষ পদের নিয়োগ পেতে হলে আরবি বিষয়ে প্রভাষক পদে বার বছরের অভিজ্ঞতার নিয়ম থাকলেও মৌলভী শিক্ষক শাহজাহানের ক্ষেত্রে তা কিছুই নেই। অদ্যাবধি শাহজাহান মৌলভী পদের বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ইং মার্চ এবং ২০২০ মে এম.পি.ও সীটে মৌলভী শিক্ষক পদে নাম অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। তবে আর্শ্চয্যের বিষয় হলো ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার ও তথ্য গোপন করে ২০২০ জুন মাদরাসার শিক্ষা অধিদপ্তরের এম.পি.ও সীটে মৌলভী শিক্ষক পদ থেকে অধ্যক্ষ পদ নিয়ে আসেন। বিষয়টি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা অফিস অবহিত নয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দুটি অফিস বিষয়টি মৌলভী শিক্ষক শাহজাহানের এম.পি.ও সীটে মৌলভী শিক্ষক পদ পরিবর্তন করার জন্য মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক বরাবর কোন তথ্যাবলী প্রেরণ করেন নি। তবে রহস্যজনকভাবে ২০২০ জুন সহকারী মৌলভী পদ থেকে অধ্যক্ষ পদ সংযুক্ত হয়ে আসছে। অথচ সরকার কর্তৃক বেতন শাহজাহান মৌলভী পদের গ্রেড ৯ উত্তোলন করছে। এসব দূর্নীতি অনিয়ম ও ভুয়া জাল কাগজ ব্যবহার করে মৌলভী শিক্ষক শাহজাহান নিজেকে অধ্যক্ষ হিসেবে এম.পি.ও ভুক্তির জন্য জোর চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে।
শাহজাহানের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে মাদরাসাটি দিন দিন অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। মৌলভী শিক্ষক শাহজাহান ভুয়া ও জাল কাগজ ব্যবহার করায় অধ্যক্ষের এমপিওভুক্তি না করে, দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নেওয়ায় তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে মাদরাসার জমিদাতা মুহম্মদ আবদুর রউফ বলেন, অধ্যক্ষের যোগ্যতা না থাকার পরেও অবৈধভাবে অধ্যক্ষ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবে বলে আশাবাদী।
এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেও শাহজাহানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।