মো: আল আল আমিন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতি নিধি।।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য প্রস্তুত দেশের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এই ঈদগাহে এবছর অনুষ্ঠিত হবে ঈদ-উল ফিতরের ১৯৮তম জামাত।
ঈদের জামাত শুরু হবে সকাল ১০টায়। এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে শোলাকিয়ার জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।
জানা যায়, সকাল ১০ টায় ঈদের জামাত শুরু হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা মুফতি আবুল খায়ের সাইফুল্লাহ। ঈদ জামাতে জায়নামজ ও মোবাইল ফোন ছাড়া আর কিছু সঙ্গে না আনতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জামাতের জন্য ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, ‘প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ১৯৮ তম পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জায়নামাজ ও মোবাইল ফোন ছাড়া ছাতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না।’
কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, ‘এবার ঈদগাহ পর্যবেক্ষণের জন্য ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার, চারটি ড্রোন ক্যামেরাসহ পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ কয়েক স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে জেলা শহরসহ ঈদগাহ মাঠ।’
এদিকে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ- কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল` নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।
শোলাকিয়া মাঠের রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে শর্টগানের ৬টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি এবং ১ মিনিট আগে ১টি গুলি ছুড়ে নামাজের জন্য মুসল্লিদের সংকেত দেয়া হবে।
জানা যায়, সুদূর ইয়েমেন থেকে ইসলামী ঐশীবাণী নিয়ে হযরত শাহ সৈয়দ সফি আহমেদ রহ. কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে আগমনের পর ১৮২৮ সালে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে ইমামতি করেন। তখন তাঁর আধ্যাত্মিকতায় আকৃষ্ট হয়ে প্রায় সোয়া লাখ মুসল্লি উক্ত জামাতে অংশগ্রহণ করেন। সেই থেকে সোয়া লাখ সংখ্যাবাচক শব্দ থেকে সোয়ালাখিয়া নামটি প্রাধান্য পায়। শব্দের বিবর্তনে সোয়া লাখিয়াতে শোলাকিয়া নাম ধারণ করে।