ডেস্ক রিপোর্ট :
ভারত বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েই বিশ্বকাপ শুরু সাকিব আল হাসানদের। ৯২ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে টাইগাররা।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রান করেই অলআউট হয়ে যায়।
শনিবার ধর্মশালার সকালটা অবশ্য নিজেদের মতো করেই নিয়ন্ত্রণ করে আফগানিস্তান। প্রথম উইকেট হারানোর আগ পর্যন্ত উপহার দিতে থাকে সাহসী ক্রিকেট। তবে বিপদ বেড়ে যাবার আগেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব।
ইবরাহীম জাদরানকে ফিরিয়ে প্রথম উপলক্ষ এনে দেন তিনি। ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে জাদরান ফেরেন ২৫ বলে ২২ করে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালায়, সুযোগ দেননি সাকিব। তিনে নামা রহমত শাহকে ১৮ রানে বোকা বানান টাইগার দলপতি।
৮৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে আফগানরা, যা বাড়িয়ে দেন হাশমতুল্লাহ শাহিদি। তাকে চেপে ধরে গুরবাজের উপর চাপ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ। যেই চাপ নিতে পারেননি গুরবাজ। চাপমুক্ত হতে গিয়ে মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ তুলে দেন তামিমের হারে। আউট হন ২৫.২ ওভারে ৬২ বলে ৪৭ করে।
এর আগের ওভারেই অবশ্য মেহেদী মিরাজ ফেরান আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহকে। ৩৮ বলে ১৮ করে আউট হন এই ব্যাটার। এই দুই ওভারে কোনো রান বের করতে পারেনি আফগানিস্তান। চাপের মাঝে তাদের আরো চেপে ধরেন সাকিব, নাজিবুল্লাহ জাদরানকে (৫) ফেরান তিনি।
তালে তালে যেন নিজেকে ফিরে পান তাসকিন। ৩০তম ওভারে এসে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন তিনি। মোহাম্মদ নাবির (৬) স্ট্যাম্প ভাঙেন এই পেসার। ২৫ থেকে ৩০, এই ৬ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে তখন ৩০ ওভারে ১২৬/৬।
এরপর আজমতুল্লাহ ওমরজাই চেষ্টা করেছিলেন বটে, তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। নিজেও পারেননি ইনিংস বড় করতে। রশিদ খান ১৬ বলে ৯ করে মেহেদী মিরাজের শিকার হন। ১৫০ রানে ৭ উইকেট হারায় আফগানরা।
২২ রান করে শরিফুলের বলে স্ট্যাম্প উড়ে ওমরজাইয়ের। ১৫৬ রানে তিনি ফেরার পর শেষ দুই উইকেটে আর কোনো রান নিতে পারেনি দলটি। ৩৭.২ ওভারেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস।
সাকিব ও মিরাজ নেন সমান ৩ উইকেট, জোড়া উইকেট শরিফুলের।
১৫৭ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে তিনে নেমে মিরাজ সফল হলেও ব্যর্থ ছিলেন দুই ওপেনার। প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই ঝরে পড়েন তানজিদ তামিম। লিটনের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন তিনি। নাজিবুল্লাহ জাদরানের সরাসরি থ্রোতে ১৩ বলে ৫ রানে ধরতে হয় সাজঘরের পথ।
লিটনও অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি, বরাবরের মতোই আশাজাগানিয়া শুরুর পর আবারো উপহার দেন হতাশা। আরো একবার ব্যর্থতার বৃত্তে আটকা পড়েন ১৮ বলে ১৩ রানে। ফারকীর বল ব্যাট ছুঁয়ে স্ট্যাম্প ভাঙে। ফলে ২৭ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পরের অধ্যায়টা মেহেদী মিরাজ আর নাজমুল শান্তের। দুই বন্ধু মিলেই দলকে পৌঁছে দেন জয়ের দ্বারপ্রান্তে। গড়ে তুলেন ৯৭ রানের জুটি। যদিও মাঝে বেশ কয়েকবার সুযোগ এসেছিল জুটি ভাঙার, তবে আফগানরা তা কাজে লাগাতে পারেনি।
এই সুযোগে বিশ্বকাপে দু’জনেই তুলে নেন নিজেদের প্রথম ফিফটি। ৭৩ বলে ৫৭ করে আউট হলে থামে এই যুগলবন্দী। তবে তা জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি। সাকিবকে নিয়ে বাকি পথটা সামলে নেন শান্ত। সাকিব আউট হন ১৯ বলে ১৪ রানে। শুরুতে সাবলীল না হলেও চারে নামা শান্ত মানিয়ে নেন নিজেকে। অপরাজিত থাকেন ৮৩ বলে ৫৯ রানে।
তবে ব্যাট হাতে নয়, জয়ের ভীতটা বল হাতেই করে দিয়েছিলেন মেহেদী মিরাজ। অধিনায়ক সাকিবকে সাথে নিয়ে ধসিয়ে দেন আফগানদের।
ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে ম্যাচসেরা হয়েছেন মিরাজ। ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ৫৭ রান, বল হাতে নেন ৩ উইকেট।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো. ওমর ফারুক, উপ-সম্পাদক : মুন্সী নাজমুল হোসেন
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিস : শ্রীমদ্দি মোড়ের বাজার, হোমনা, কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।