ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক>> বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের বাগানে ছাগল ঢুকে ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে মালিকের অনুপস্থিতিতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা শারমিন। গত ২২ মে, ২০২১ খ্রি. তারিখে পেটে তিন মাসের বাচ্চা থাকা ছাগলটি আটকে রাখার পর সেটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউএনও’র বিরুদ্ধে ।
ছাগল খোঁয়াড়ে না দিয়ে আটকে রাখা, মালিকের অনুপস্থিতিতে তাকে জরিমানা ও বিক্রি করার খবরে জনগণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলো সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সাহারা খাতুন জানান, তিনি ছাগল ও মুরগি লালন-পালন করে সংসারের অভাব মেটান। তার বকনা ছাগল গত ১৭ মে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বাগানে ঢুকে ফুলগাছের পাতা খায়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার নিরাপত্তা কর্মীকে দিয়ে ছাগলটি আটক করান।
পরিষদের ভিতরে ছাগল বাঁধা দেখে তিনি আনতে যান। তখন নিরাপত্তা কর্মী তাকে ফিরিয়ে দেন। এরপর থেকে সাহারা খাতুন পাঁচ দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ধরনা দিলেও লাভ হয়নি। বরং ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে জানানো হয় ফুলগাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ করে ছাগল নিয়ে যেতে বলা হয়।
সাহারা খাতুন অভিযোগ করেন, জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ২২ মে ছাগলটি বিক্রি করে দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার গৃহকর্মী তাকে জানিয়েছেন, বাজারে পাঁচ হাজার টাকায় ছাগল বিক্রি করা হয়েছে। জরিমানার দুই হাজার বাদে তাকে অবশিষ্ট তিন হাজার টাকা নিয়ে যেতে বলেন।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া অ্যাডভোকেটস বার সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ কুদরত-ই-এলাহী কাজলসহ কয়েকজন বলেন, ছাগল গাছ খেলে সেটিকে ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থিত খোঁয়াড়ে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু মালিকের অনুপস্থিতিতে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা ও ছাগল বিক্রি করে দেওয়া অত্যন্ত অন্যায় কাজ।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা শারমিন বলেন, তিনি পরিষদের ভিতরে মূল্যবান ফুলগাছের বাগান করেছেন। সাহারা বেগমের ছাগল তিন দিন ঢুকে গাছ খেয়ে ফেলে। এ ব্যাপারে সতর্ক করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। চতুর্থ দিন গাছ খেলে ছাগল আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে গণউপদ্রব আইনে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি নিজের পকেট থেকে ওই টাকা কোষাগারে জমা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ছাগলটিকে কয়েক দিন খাওয়ানোর পর একজনের জিম্মায় রেখেছেন। ওটা বিক্রি করেননি। জরিমানার টাকা পরিশোধ করলেই মালিককে ছাগল ফেরত দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, কিছু ব্যক্তি এ তুচ্ছ ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করছেন।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, উপ-সম্পাদক : মুন্সী নাজমুল হোসেন
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিস : শ্রীমদ্দি মোড়ের বাজার, হোমনা, কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।