crimepatrol24
৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ২:৩১ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

অবিলম্বে দেশে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের দাবিঃ ক্যাব

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
জুন ২৪, ২০২২ ৯:৫৯ অপরাহ্ণ
অবিলম্বে দেশে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের দাবিঃ ক্যাব

ক্রাইম পেট্রোল ডেস্কঃ

ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট ছাড়, এলসি কমিশন ও এলসি মার্জিন প্রত্যাহারে পর এপ্রিলে এসব সুবিধা নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি আমদানি করেছেন বড় মিল মালিক ও আমদানিকারকরা। গত রমজানের ঈদের পর ৫ মে দেশে ভোজ্যতেলের দাম সরকার পুনর্র্নিধারণ করেছিল। ওই সময়ে সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি রেকর্ড পরিমান বাড়িয়ে ৩৮ টাকা নির্ধারন করেছিলো। এরপর বিগত ৯ জুন কোন প্রকার কারণ ছাড়াই মিল পর্যায়ে ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম মিলগেটে ১৮০ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৮২ টাকা ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম মিলগেটে ১৯৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৯৯ ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এক লিটারের খোলা পাম অয়েলের (সুপার) দাম মিলগেটে ১৫৩ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৫৫ ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৫৮ টাকা করা হয়। এক্ষেত্রে সয়াবিনের দাম বাড়ানো হয়েছে লিটারপ্রতি ৫-৭ টাকা। আর্ন্তজাতিক বাজারে ক্রমাগতভাবে দাম কমার পরও দেশে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। এর আগে বানিজ্য মন্ত্রী একাধিক বার দাম সমন্বয়ের আশ্বাস দিলেও সে আশ্বাসের ফল নেতিবাচকই আসছে। আর্ন্তজাতিক বাজারে তিন মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ২০০-৪৯০ ডলার কমলেও দেশে তার বিপরীতে ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে এক মাসে দুদফায় প্রতি লিটার সয়াবিনে দাম বাড়িয়েছেন ৫১ টাকা। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯ সালে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৭৬৫ ডলার। ২০২০ সালে দাম ছিল ৮৩৮ ডলার এবং ২০২১ সালে সয়াবিনের টনপ্রতি দাম ছিল ১৩৮৫ ডলার। কিন্তু চলতি বছরের মার্চে একপর্যায়ে তা বেড়ে যায়। মার্চে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১৯৫৬ ডলার। এপ্রিলে কমে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১৯৪৭ ডলার। আর বর্তমানে টনপ্রতি ১৪৬৪ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় অবিলম্বে দেশে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করার দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

শুক্রবার ২৪ জুন ২০২২ইং আর্ন্তজাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম ক্রমাগত কমার কারনে অবিলম্বে দেশে দাম সমন্বয়ের দাবিতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন উপরোক্ত দাবি জানান।

বিবৃতিতে ক্যাব সহ-সভাপতি নাজের হোসাইন বলেন, যখন বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তি, তখন পণ্যটি আমদানিতে সরকারের পক্ষ থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার ছাড়াও বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর ওই সুবিধা নিয়ে আমদানি কারা তেল দেশের বাজারে আসলে দাম কমার কথা ছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভোক্তারা তার কোন সুফল পায়নি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে, দেশে তার বিপরীতে বাড়ানো হচ্ছে? যা শুধুমাত্র ব্যবসায় সুশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, ব্যবসায়িক নীতি নৈতিকতাকেও প্রশ্নের মূখে ফেলে দিচ্ছে এবং ভোক্তারা চরম ক্ষতির শিকার।

বিবৃতিতে ক্যাব সহ-সভাপতি আরও বলেন, দাম বৃদ্ধির পর্যালোচনা করে দেখা যায়-গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ভোজ্যতেলের দাম পাঁচবার উঠানামা করেছে। এর মধ্যে তিন দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারসাজিতে অক্টোবরের শেষ দিক থেকে বেসামাল হয় ভোজ্যতেলের বাজার। ফলে অক্টোবরে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটার ১৬০ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে প্রতি লিটার ২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। পরে সরকারের পক্ষ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়। সে সময় প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৬৮ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সে সময়ও বেঁধে দেওয়া দামে ভোজ্যতেল বাজারে পাওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে ক্যাব সহ-সভাপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন দাম বাড়াতে যতটুকু আগ্রহী, দাম কমলে কমাতে তেমন আগ্রহী না হবার কারনে ভোজ্যতেলের বাজারে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে দেশীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দেয় আমদানিকারকরা। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে কমলে দীর্ঘদিনেও দেশীয় বাজারে পণ্যটির দাম সমন্বয় হয় না, যা খুবই দুঃখজনক। আবার আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় বাজারে দাম বাড়ে, কিন্তু দাম কমলে ব্যবসায়ীদের উল্টোসুর বেশী দামে কেনা বা বৃকিং রেট বেশীসহ নানা অজুহাত।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

রংপুর মেট্রোপলিটনে ১ কোটি ১০ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার

স্কুলছাত্রী সুমনা হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন

পাবনা চাটমোহর জুয়েলার্স মালিক সমিতি’র বাৎসরিক বনভোজন অনুষ্ঠিত

পদ্মা সেতুতে বসানো হল ৩৬তম স্প্যান

সরিষাবাড়ীতে বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে সাবেক এমপির ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম বিদ্যুৎ

গাইবান্ধায় পুলিশের অভিযানে কিডনি ব্যবসায়ী আটক

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি

করিমগঞ্জে ২১ কেজি গাঁ*জাসহ ২ মা*দক কারবারি আটক

কেএমপি’র হরিণটানা থানা পুলিশের অভিযানে ৩৩ (তেত্রিশ) পিস স্বর্ণের চেইনসহ গ্রেফতার ১

সরিষাবাড়ীতে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষুব্ধ ক্ষুধার্ত মানুষদের রাস্তায় অবস্থান