শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সহিংসতার শিকার যুবলীগ নেতা সোহেল রানার ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে পড়েছে। চিকিৎসার অর্থ যোগান দিতে না পেরে ভুগছেন হতাশায়। দু’পায়ের রগ কেটে দেয়ায় না পারছে চলতে, না পারছে সংসারের ভরণ-পোষণ করতে। দীর্ঘ ৬ বছর থেকে সোহেলের এ অবস্থা। তার ওপর আবারো তার পায়ে ঘাঁ ফুটে বের হয়েছে। ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচীয় মীরগঞ্জ গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা সোহেল রানা সুন্দরগঞ্জ শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাঝিপাড়া নামক স্থানে দুর্বৃত্তরা তার পথ রোধ করে দু’পায়ের রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সুন্দরগঞ্জ ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। ওই সময় এ উপজেলায় ব্যাপক রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ৩৮জনকে আসামী করে সোহেলের স্ত্রী শরীফা খাতুনের দায়ের করা মামলাটি এখন বিচারাধীন।
হাপসাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেনা সোহেল। ক্র্যাচ ধরে হাঁটতে হয়।
সোহেল জানান, শত কষ্টের মাঝেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করছি। বর্তমানে তারাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি গাইবান্ধা সার্কিট হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহেলের বাবার হাতে এক লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। সে টাকা শেষ হওয়ার পর আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
সোহেল আরো জানান, এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন মাঝে মাঝে চিকিৎসার খরচ দিতেন। এমপি লিটন মারা যাবার পর আর কেউ তার দিকে সু-নজরে তাকায় নি। কিন্তু ওষুধ প্রতিদিন খেতে হয়। এতে মাসে ৬/৭ হাজার টাকা খরচ হয়। সোহেল আক্ষেপ করে বলেন, বাড়িতে যখন বসে থাকি, তখন দু-পায়ের ভিতর কিট-কিট করে অসহ্য যন্ত্রনা করে। বাধ্য হয়ে ক্রাচ হাতে নিয়ে রাস্তায় রেরিয়ে পরি। চলাফেরা ও লোক সমাগমে থাকলে যন্ত্রনাটা ভুলে থাকতে পারি। বর্তমানে তার পায়ে আবারো ঘাঁ ফুটে বের হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসা করার মত অর্থ তার কাছে নেই। ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীসহ ৪ সদস্যের সংসার চালানোর পথও বন্ধ হতে চলেছে। সব মিলিয়ে তার জীবন প্রায় বিপন্ন।