অনলাইন ডেস্ক : শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে অতিরিক্ত চাঁদা কর্তনের বিকল্প ব্যবস্থাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে স্বাধীনতা শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বাধীনতা শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক শাহজাহান আলম সাজু।
শাহজাহান আলম সাজু বলেন, বর্তমান জনবান্ধব সরকারের আমলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থার পরিবর্তনসহ শিক্ষা ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তারপরও এখনও অনেক বৈষম্য রয়েছে। এ বৈষম্যের সম্পূর্ণ অবসান করার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করা একান্ত অপরিহার্য। দেশের ৯৮ শতাংশ শিক্ষা মূল দায়িত্বপালনকারী বেসরকারি শিক্ষকরা বর্তমানে বিভিন্নভাবে উপেক্ষিত।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গত ১০ বছরে শিক্ষানীতি প্রণয়ন, জাতীয় বেতন স্কেল দেয়া, বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য কল্যাণ এবং অবসর বোর্ডে ১৬২৭ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেয়া, ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা দেয়া, বাড়ি ভাড়া ও মেডিকেল ভাতা বৃদ্ধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এখনও অনেক সমস্যা বিরাজমান রয়েছে।
এসব সমস্যা সমাধানে একমাত্র উপায় হচ্ছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা। একইসঙ্গে সরকারের বর্তমান মেয়াদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা ও কার্যক্রম গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
৮ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিশ্বায়ন উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারের বর্তমান মেয়াদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে এবং অবিলম্বে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দিতে হবে। জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনুরুপ পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও যৌক্তিক বাড়ি ভাড়া দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক কাজী মিজানুল ইসলাম, স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম, বাংলাদেশ প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা, এ কে এম ওবায়দুল্লাহ, অধ্যক্ষ মিলন কুমার ঘোষাল, শামসুল ইসলাম, এম আরজু, শাহজাহান খান প্রমুখ।