
রংপুর ব্যুরোঃ
রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানার মহব্বত খাঁ ওমরকুটি এলাকায় জমি বণ্টন সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক পরিবারের ওপর হা*মলা ও বাড়িঘর ভা*ঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। হামলার পর থেকে পরিবারটি আতঙ্কে এলাকা ছাড়া হয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে বলে দাবি করেছে।
পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর বরাতে জানা যায়, মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে ফরহাদ আলীর সঙ্গে তার আত্মীয় লিটন, রাজু, রনি, আলতারুল ইসলাম, আক্কাছ আলী, আজহার আলী, মোজাহার আলী, আলেমা বেগম ও আদুরী বেগমের দীর্ঘদিন ধরে জমি ভাগ–বণ্টন নিয়ে বিরোধ চলছিল। ফরহাদের দাবি, তার বাবার ক্রয়কৃত জমি ওই পক্ষ জোর করে দখল করতে চাইছিল। এ নিয়ে আপত্তি জানালে তাকে ও তার পরিবারকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দেওয়া হতো।
পরিবারের অভিযোগ, গত ২৮ নভেম্বর সকালে বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর গেলে রনি ও তার সহযোগীরা ফরহাদ এবং তার মা ফাতেমা বেগমের পথরোধ করে লোহার রড ও ধা*রালো অ*স্ত্র দিয়ে মা*রধর করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মা–ছেলেকে উদ্ধার করে।
এর পরের দিন ২৯ নভেম্বর সকালে লিটনসহ কয়েকজন লা*ঠিসোটা ও দেশীয় অ*স্ত্র নিয়ে ‘বেআইনি জনতা’ গঠন করে ফরহাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা আসবাবপত্র, টিনের বেড়া, ঘরের ছাউনি ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পরিবারের। বাধা দিতে গেলে ফরহাদের স্ত্রী, বোন ও মাকেও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবারের সদস্য ফরহাদ, তার বোন দিলরুবা এবং মা ফাতেমা বেগম জানান, “দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা চলছে। প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। এখন আমরা বাড়িতে ফিরতে পারছি না, আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সাংবাদিক ও প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই। থানায় অভিযোগও করেছি।”
এলাকাবাসী মানিক, গুলু, ফেরোজা, রাজিমসহ কয়েকজন বলেন, “আমাদের চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটেছে। এটা বর্বরোচিত হামলা। দোষীদের বিচার হওয়া উচিত।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রনি হামলার বিষয়টি আংশিক স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “জমিটি আমাদের। কিনতে বললেও তারা কিনছে না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা হামলা করেছি। একটু-আধটু ভাঙচুর করেছি, বাকিটা তারা নিজেরাই ভেঙেছে।”
ঘটনা সম্পর্কে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার এসআই মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”















