মাও. শামীম আহমেদ, সাঁথিয়া প্রতিনিধি, পাবনা >>
বন্ধুত্ব মহান আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত। এজন্য যার তার সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়। ইসলাম মানুষের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। আবার কাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে অত্যাচারী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের ব্যাপারেও দিয়েছেন স্পষ্ট ঘোষণা। সুতরাং বন্ধুত্ব করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। দুনিয়ার প্রতিটি কাজে ভালোবাসা রাখতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য আবার ঘৃনা করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য এ কথার অর্থ হলো এই যে, এমন কাজ করতে হবে যা করলে মহান আল্লাহ তায়ালা খুশি হবেন। ভালো কাজ করা ব্যক্তিকে ভালোবাসতে হবে।মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য আবার গুনাহের কাজে উৎসাহ প্রদানকারীকে বা কাজকে ঘৃনা করতে হবে। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীনের জন্য যদি কেউ আল্লাহর বিপরীত চলা ব্যক্তিকে ভালোবাসে তবে তা হবে মুমিন মুসলমানের জুলুম স্বরূপ। এ কারণেই মহান আল্লাহ তায়ালা ইসলাম বিরোধী খ্রিষ্টান ও ইয়াহুদীদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু লোকদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন হিসেবে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা অত্যাচারী সম্প্রাদয়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (সুরা মায়েদা—৫১) ।ইয়াহুদী খিস্টানরা প্রিয়নবী হযরত রাসুল (সা:) সময় থেকে শুরু করে এখনও ইসলাম ও মুসলমানের বিরোধীতায় নিজেরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে। এ কারণে কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা খ্রিষ্টান- ইয়াহুদীদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।এছাড়াও মহান আল্লাহ তায়ালা অন্য এক আয়াতে কারীমায় ইরশাদ করেন, আল্লাহ ওই সব লোকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি–ঘর স্বদেশ থেকে বের করে দিয়েছে এবং তাদের বের করার জন্য একে অপরকে সাহায্য করেছে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তারাই তো জালেম বা অত্যাচারী (সুরা মুমতাহিনা -৯) হে! আল্লাহ আমাদেরকে ভালো নেক,আল্লাওয়ালাহ ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব করার তাওফিক দান করুন। ( আমিন)