ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক : কুমিল্লা দেবীদ্বারে সিএনজি চালিত অটোরিকশার গতিরোধ করে স্বামীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
গত (১৮ জানুয়ারি ২০১৯) এই ঘটনা ঘটে। নানা প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিপক্ষের হুমকির কারণে মামলা দায়ের করতে সাহস পাননি তারা। পরে শুক্রবার ১০ জানুয়ারি দুপুরে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী দেবীদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উপজেলার সূর্যপুর গ্রামের মৃত শামসুল হকের পুত্র মো. নবীরুল মেম্বার (৩৯), একই গ্রামের মো. আব্দুল হাকিমের পুত্র মো. আকাশ (৩০), মো. সিরাজুল ইসলামের পুত্র মো. আলিম (২৮), মো. আ. মালেকের (মালুমিয়া) পুত্র মো. মোস্তফা, মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের মো. বাবুল খাঁনের পুত্র মো. শহিদ খাঁন প্রকাশ পাখি (৩২), সুলতান আহাম্মদ খন্দকারের পুত্র মো. শমীম খন্দকার (২৮), অজ্ঞাতনামা আরো দু’জনসহ মোট আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন ভোক্তভুগী ওই গৃহবধূ।
এই ঘটনায় শুক্রবার অভিযান চালিয়ে নবীরুল মেম্বার, মো. শহিদ খান পাখীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে শনিবার দুপুরে কুমিল্লা আদালতে হাজির করা হয়।
কুমিল্লা ৪ নং বিচারিক আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক রোকেয়া বেগমের আদালতে অভিযুক্তরা ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তারা। বিচারক রোকেয়া বেগম তাদের জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় নথিভূক্ত করে অভিযুক্তদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার নবীরুল ও শহীদ খানকে আটক করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তারা ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।