অনলাইন ডেস্ক : কক্সবাজার বিমানবন্দরের জন্য জেনারেটর ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও কক্সবাজার বিমানবন্দরের সাবেক কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক খোন্দকার হাসান মো. ফিরোজ জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- মেসার্স ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী এবং প্রকল্পের ঠিকাদার শাহাব উদ্দীন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ভবেশ চন্দ্র সরকার, কক্সবাজার বিমানবন্দরের সাবেক ব্যবস্থাপক হাসান জহির, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মিহির চাঁদ দে এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল আফরোজ।
মামলার আরেক আসামি কক্সবাজার বিমানবন্দরের সাবেক সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম মণ্ডল আদালতে হাজির হননি।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কক্সবাজার বিমানবন্দরের জন্য একটি ৩০০ কেভিএ জেনারেটর কেনার নিমিত্তে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কতিপয় কর্মকর্তা ও ঠিকাদার যোগসাজশ করে জেনারেটরটি ক্রয় না করেই ক্রয় দেখিয়ে ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ৬ জানুয়ারি দুদকের চট্টগ্রাম অঞ্চল-২ এর উপপরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
এই মামলায় আসামি করা হয় প্রকল্পের ঠিকাদার মেসার্স ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শাহাব উদ্দীন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ভবেশ চন্দ্র সরকার, কক্সবাজার বিমানবন্দরের সাবেক ব্যবস্থাপক হাসান জহির, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মিহির চাঁদ দে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল আফরোজ এবং কক্সবাজার বিমান বন্দরের সাবেক সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম মণ্ডলকে।
এদিকে মামলার ব্যাপারে দুদকের কৌঁসুলি (পিপি) আবদুর রহিম জানান, দুর্নীতির এই মামলায় উচ্চ আদালত আসামিদের চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এ সময় আসামিদের নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়। উচ্চ আদালতের আন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আসামিদের পাঁচজন কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট নুরুল মোস্তফা মানিকের নেতৃত্বে ২০ জনের অধিক আইনজীবী শুনানি করে এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন দুদকের কৌঁসুলি (পিপি) আবদুর রহিম। তাকে সহযোগিতা করেন সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। দুপক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।