ভোলার তজুমদ্দিনে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে হুমকীর মুখে বেড়িবাঁধ। ছবি: সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক>> ভোলার তজুমদ্দিনে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। এতে যাতায়াত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তজুমদ্দিন-মঙ্গলশিকদার সড়কে। দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীসহ দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। বর্ষা মৌসুমের আগে জোয়ারের পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে বাড়িঘরসহ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার দড়িচাঁদপুর এলাকার মহাজনবাড়ী ও কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন দুটি পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বেড়িবাঁধটি ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। প্রবল স্রোতে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই এলাকায় বসবাসকারী, মৎস্যচাষী ও কৃষকরা আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গুরিন্দাবাজার, চাঁচড়া কাটাখালী ও মঙ্গলশিকদারসহ কয়েকটি সড়কের। ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়েছে কেয়ামূল্যাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর চাঁচড়া মোমিনুদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁচড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, চাঁচড়া রহমানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া জায়ারের পানি ঢুকে রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
বর্ষা মৌসুমের আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীরা।
চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতি বছর জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হওয়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন আসেন। বার বার বলা সত্ত্বেও তারা ব্যবস্থা নেন না। সময় মতো কাজ না হওয়ায় জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়েন জন প্রতিনিধিরা।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের ব্যাপারে জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ নির্বাহী প্রকৌশলী কাইসার আলম বলেন, জোয়ারের পানি বন্ধ করার জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তজুমদ্দিনে সাড়ে ৩ কিলোমিটার পূর্ণাঙ্গ বেড়িবাঁধ নির্মাণে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।