আনিছুর রহমান মানিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, নীলফামারী>>
নীলফামারীর ডোমার হরিণচড়ায় গৃহবধুকে ধর্ষণ করতে গিয়ে ধর্ষক শাজাহান আটক, গণধোলাইয়ের শিকার।ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড উত্তর হরিণচড়া কলির স্কুল পাড়া গ্রামে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, উক্ত গ্রামের মফিজার রহমানের লম্পট পুত্র একই গ্রামের এক রাজমিস্ত্রির স্ত্রী ১সন্তানের জননীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। গৃহবধুর স্বামী বরিশালে মিস্ত্রির কাজে ব্যস্ত থাকায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় সময় রাতের অন্ধকারে গৃহবধুর ঘরে আসা যাওয়া করতে থাকে লম্পট শাজাহান। গত শুক্রবার (২০ জুন) গভীর রাতে শাজাহান ওই গৃহবধুর ঘরে গেলে গৃহবধুর শাশুরী প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানালে তারা প্রেমিক যুগলকে আটক করে। পরে দরজা ভেঙ্গে শাজাহানকে গৃহবধুর খাটের নিচ থেকে বের করে গাছে বেঁধে গণধোলাই দেয়। এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তি এসে শাজাহানকে উদ্ধার করে বিচার শালিসের নাম করে গৃহবধুকে আলতাফ হোসেন কসাইয়ের ছেলে আনারুল ইসলামের জিম্মায় দেয়।
গৃহবধু জানান, শাজাহানের সাথে দীর্ঘ ২ বছর থেকে প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছে এবং তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় রাতে তার ঘরে রাত কাটায়। ধরা পড়ার পর থেকে শাজাহান পলাতক রয়েছে।
গৃহবধুর স্বামী রাজ মিস্ত্রি বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার পরিবারের সাথে সর্ম্পক ভাল না থাকায় জোর করে আলাদা বাড়ী করে নেয় আমার স্ত্রী। আমিতো বরিশালে কাজ করি বছরে ৩/৪ বার বাড়িতে আসি সেই সুযোগে সে অন্যের সাথে অপকর্ম করে আমার সম্মান নষ্ট করেছে। এ বিষয়ে গত ২৩ জুন কলির স্কুলে বিচার শালিসের আয়োজন করলে শাজাহান ও তার পরিবারের লোকজন কেউ হাজির না হওয়ায় গৃহবধু মামলা করবে বলে জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করে ফল হয়নি, সেই থেকে তারা কোন যোগাযোগ করেনি। শুনলাম আদালতে মামলা করবে গৃহবধু। লম্পট শাজাহানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন এলাকাবাসী।