আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে এক প্রতিবন্ধি কন্যার বিয়ের ৭০ হাজার টাকা নিয়ে কথিত এক মানবাধিকার কর্মী উধাও।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করে দীর্ঘ ৯মাসেও টাকা উদ্ধার না হওয়ায় পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কাওলাপাড়া গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উক্ত গ্রামের অসহায় দিন মজুর আনু হোসেনের প্রতিবন্ধি কন্যা মনি আক্তার (১৮)’র সাথে বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার সহিদুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানার বিয়ের কথা ঠিক হয়। গত ১২/০৯/১৮ তারিখ দুপুরে বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য বরের বাড়ী যাওয়ার সময় আজিজার মিয়ার হাটে দেখা হয় দঃ জোড়াবাড়ী ওস্তা পাড়ার মোসলেম মেকারের ছেলে কথিত মানবাধিকার কর্মী খাটো প্রাইভেট মাস্টারের সাথে। সেও বিয়ের কথা জানতে পেরে বরের বাড়ী যাওয়ার ফন্দি করে। প্রতিবেশীর সুবাদে তাকে সাথে নিয়ে সাকোয়া এলাকায় আলাপকালে বর- কনের কাপড় ও গয়না কেনার টাকার কথা জানতে পেরে কথিত খাটো মাস্টার ফন্দি বের করে বলে, বরের বাড়ীতে টাকা কেড়ে নিতে পারে বলে ভয় ভীতি দেখিয়ে কৌশলে তাদের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়। এ দিকে প্রতিবন্ধি কন্যার বিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ওই রাতে টাকা ফেরত পেতে খাটো মাস্টারের বাড়ীতে গেলে খাটোসহ তার বাবা মোসলেম ও ভাই সম্রাট লাঠি শোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের আটক করে ডাকাত ও সন্ত্রাসী বলে চিৎকার করতে থাকে। এবিষয়ে মনির বাবা আনু হোসেন বাদী হয়ে ডোমার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অনন্ত কুমার রায় দীর্ঘ ৯মাস পেরিয়ে গেলেও অদ্যাবধি টাকা ফেরত না পাওয়ায় পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আনুর পরিবার।
এসআই অনন্ত কুমার রায় বলেন, তাকে বার বার থানায় ডাকলেও হাজির হয়নি, আমি ট্রেনিংএ আছি এসআই মোস্তফাকে দায়িত্ব দেয় হয়েছে।
৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, খাটো দীর্ঘ দিন যাবত এলাকায় নিজেকে মানবাধিকার কর্মী, গোয়েন্দা বাহিনীর লোক, আবার কখনো নিজেকে বিভাগের বড় সাংবাদিক পরিচয়ে জুয়ারী ধরিয়ে দিয়ে পুলিশের ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। চিটিং এর কারণে গত সপ্তাহ আগে আজিজার মিয়ার হাটের লোকজন তাকে গণধোলাই দিয়েছে।এবার প্রতিবন্ধির টাকা আত্মসাৎ করায় আমরা ক্ষিপ্ত।
এ ব্যাপারে খাটো মাস্টারের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাংবাদিকের নাম শুনে ফোন কেটে দেয়ায় তার মন্তব্য জানা যায়নি। প্রতিবন্ধির টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।