আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ চান্দখানা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মজিবুল হক প্রামাণিক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন (ঢোল মেম্বার) এর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন চাকুরী প্রত্যাশী একাধিক প্রার্থী।
জানা যায়, গত ১৫/০২/২০২৩ ইং তারিখের পত্রিকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৪র্থ শ্রেণির ৪জন কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন প্রধান শিক্ষক। এতে করে সেখানে প্রায় ৩১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। তাদের মধ্যে নিয়োগ বাণিজ্যের মহাউৎসব শুরু করেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। প্রথমে বেশ কয়েক জনের কাছে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিলেও পরে দর কষাকষির মাধ্যমে বেশি টাকা দেয়ায় বেশ কয়েক জনের টাকা ফেরত দেয় তারা।
অফিস সহায়ক পদে রত্না বেগম জানান, ‘তার সাথে ৭ লক্ষ টাকা চুক্তি হয় এবং ১ লক্ষ টাকা জমি বন্ধক ও গয়না বিক্রি করে সভাপতির হাতে তুলে দেয়। পরে একই পদে অপর প্রার্থী ৮ লক্ষ টাকা দিতে চাইলে রত্নার টাকা ফিরিয়ে দেয় তারা। অপর দিকে নৈশ প্রহরী পদে বিদ্যলয়ের জমি দাতার ছেলে মাসুম আবেদন করে। তার কাছে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই পদে শাহিন আলম আবেদন করে। তার কাছেও ১০ লক্ষ টাকা দাবি করলে দিতে না পারায় তার চাকুরী অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে সভাপতি মোশারফ হোসেন (ঢোল মেম্বার) টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘অনেকে টাকা দিতে চেয়েছে, আমি কারো টাকা নেইনি। আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেছে। পরীক্ষার মাধ্যমে যারা উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হবে।’
প্রধান শিক্ষক মজিবুল হক প্রামাণিক বলেন, ‘টাকা লেনদেনের বিষয়ে আমি জানিনা, পরীক্ষার মাধ্যমে যারা ভালো রেজাল্ট করবে আমরা তাদেরকেই নিয়োগ দিবো।