জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ
মাাদ্রসা পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে বাল্যবিবাহ দেয়ার অপরাধে শিক্ষার্থীর পিতাকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট। ঝিনাইদহের ডাকবাংলা এলাকার “উত্তর নারায়ণ পুর মডেল দাখীল মাদ্রাসা”র ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মোছাঃ সোনালী খাতুন (১৪)কে বাল্য বিবাহ দেয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে মেয়ের বাবাকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট জাফর সাদিক চৌধুরী। মোছাঃ সোনালী খাতুন সদরের ডাকবাংলা এলাকার “উত্তর নারায়ণ পুর মডেল দাখীল মাদ্রাসা”র ৮ম শ্রেণির ছাত্রী, মর্মে স্বীকার করেছেন মাদ্রাসার সুপার আব্দুল্লাহ আল্ মামুন।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদরের ডাকবাংলা এলাকার বাদ পুকুরিয়া গ্রামের সলিম উদ্দিনের মেয়ে ও “উত্তর নারায়ণ পুর মডেল দাখীল মাদ্রাসা”র ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মোছাঃ সোনালী খাতুন (১৪) কে গত ২৬ জানুয়ারি শনিবার কুমিল্লা নিবাসী আজিজুল হক (২০)’র সহিত বিবাহ সম্পন্ন করেছেন মেয়ের পিতা। ২৮ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সুত্রে উক্ত বাল্য বিাহের খবর পাওয়ার সাথে সাথে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট জাফর সাদিক চৌধুরী ডাকবাংলা এলাকার বাদ পুকুরিয়া গ্রামের সোনালী খাতুনের পিতা সলিম উদ্দিনকে ফজুর মোড়ের মুদি দোকান থেকে গ্রেফতার করে। এ খবর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়লে বর আজিজুল হক ও কাজী তৎক্ষনাৎ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মেয়ের পিতা সলিমের বাড়িতে গ্রামবাসীদের সম্মুখে তার স্বীকারক্তিতে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের ২০১৭’র ৮ধারা মোতাবেক ভ্রাম্যমান আদালতে ছয় মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট জাফর সাদিক চৌধুরী। ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড প্রদান কারার সময় উপস্থিত ছিলেন সদরের সাগান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন, একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব, সাংবাদিক সহ গ্রামবাসীরা। পরে সলিমকে রাতেই জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।