জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গ্রাহক সেবায় পল্লী বিদ্যুতের প্রথম উঠান বৈঠক অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার(২২ ফেরুয়ারি)বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চকরিয়ার খুটাখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে উন্মুক্তভাবে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত উঠান বৈঠকটি কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আক্তারুজ্জামান লস্কর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায়,পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
গ্রাহক সেবায় পল্লী বিদ্যুতের দেশের প্রথম উন্মুক্ত উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালভাবে যুক্ত ছিলেন,বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান
মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন,বিশেষ অতিথি ছিলেন,বিদ্যুৎ বিভাগ,বিজ্বাখস মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব-মোঃ আহসানুর রহমান হাসিব,সদস্য(সমিতি ব্যবস্হাপনা) মোঃ মতিউর রহমান,নির্বাহী পরিচালক খালেদা পারভীন,ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ব্যবস্হাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন,অফিস বিভাগের ব্যবস্হাপনা পরিচালক হোসেন পাটোয়ারি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন,কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি হায়দার আলী,সাধারণ সম্পাদক ছোটন রাজা,অত্র সমিতির প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন মুন্সী,খুটাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুর রহমান,খুটাখালী তমিজিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওমর হামজা,অত্র ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন,সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর হক,খুটাখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন,চকরিয়া জোনাল অফিসের এজিএম সাদিকুর রহমান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,সাংবাদিক,মসজিদের ঈমাম,গ্যারেজ মালিক,পরিষদের এমইউপি সদস্যগণ ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবি মানুষ,ইলেক্ট্রনিক,পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির কর্মকর্তা,কর্মচারী প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সফল করতে জিএম,এজিএম,ডুলাহাজারা অভিযোগ কেন্দ্রের ইনর্চাজ সহ ইলেক্ট্রিশিয়ান লিটনের ভুমিকা প্রশংসনীয়।
গ্রাহক সেবা পল্লী বিদ্যুতের উঠান বৈঠকে গ্রাহকের পক্ষ বেশ কয়েকজন গ্রাহক বিভিন্ন অভিযোগ তুলে প্রশ্ন করেন।গ্রাহকেরা বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ,প্রতিটি ঘরে-ঘরে বিদ্যুৎ।এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পল্লী বিদ্যুৎ সুবিধায়নের আওতায় এসেছেন আমাদের এলাকা বা পরিবার।তাই আমাদের এলাকাটি লবণ উৎপাদিত এলাকা।আমরা লবণ মাঠে সেচ কাজে পল্লী বিদ্যুতের সুবিধা পেলে,আমাদের আর্থিক স্বচ্ছলতার উন্নতি হবে।ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের পূনঃসংস্কার আরো দ্রুত করা,ঝাঁড় ঝোপের ভিতরে লাইনের সমস্যা নিরসন,ডুলাহাজারা পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রে জনবল সংকট না রাখা,একটি সাব-স্টেশন করা,৫০/৬০বছরের অধিক বসবাসরত বনভূমিতে গড়ে উঠা গণ-বসতিপূর্ণ পাড়ায় বিদ্যুতের ব্যবস্হা করা,বিদ্যুতের লোডশেডিং এর বিষয়ে সজাগ থাকা,ট্রান্সপারমার চুরিরোধ, অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার রোধ করা,গ্রাহক হয়রানি বন্ধকরণে অফিস স্টাফদের সহযোগিতা কামনা করেন।
উঠান বৈঠকে ভার্চুয়ালীযুক্ত হওয়া বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডে কর্মকর্তারা বলেন,সমগ্রদেশে ৩কোটি ২৮লক্ষ গ্রাহক আমাদের সাথে রয়েছেন।আমাদের প্রধান লক্ষ্য গ্রাহক সুবিধা নিশ্চিত করা।কক্সবাজার জেলার সোয়া চার লক্ষ গ্রাহক আছেন।যাদেরকে বিদ্যূৎ সরবরাহ করতে,গ্রাহক সুবিধা নিশ্চিত করতে,প্রায় ছয়শত কর্মকর্তা কর্মচারী মাঠে কাজ করেছেন।তবু সংকট দেখা দিলে আরো জনবল নিয়োগে বোর্ড বদ্ধপরিকর।তাছাড়া ডুলাহাজারা অভিযোগ কেন্দ্রটি শীঘ্রই জোনাল অফিসে বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া চলমান।সেখানে গ্রাহক সেবা বৃদ্ধির লক্ষে সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হবে।এছাড়াও গ্রাহকের আনিত প্রস্তাব দ্রুত নিরসন করার জন্য কক্সবাজার সমিতির জেনারেল ম্যানেজারসহ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন ভার্চুয়ালী যুক্ত হওয়া বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যূৎ বোর্ডের কর্মকর্তারা।