ফারুক হোসেন রাজ, কলারোয়া,সাতক্ষীরা :
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। মাসটি বাঙালি জাতির জন্য, বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু শহিদ মিনার না থাকায় কলারোয়া উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালন করা হয় যেনতেনভাবে। এজন্য অস্থায়ীভাবে কলাগাছ বা অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয় শহিদ মিনার।
সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখা যায়, বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শহিদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণ করে দিবসটি পালন করে আসছি। আবার কিছু জায়গায় অনেক প্রতিষ্ঠান মিলে সম্মিলিতভাবে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
কলারোয়া শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলিয়ে ২৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ১৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৮টি মাধ্যমিক, ৩০টি মাদ্রাসা ও ৮টি কলেজ রয়েছে। তবে উপজেলার ১৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার আছে ১২টিতে, ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টিতে এবং ৩০টি মাদরাসার মধ্যে ২টিতে রয়েছে শহিদ মিনার।
উপজেলার দেয়াড়া কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আনিছুর ও ছাবিহা নামের দুই শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার না থাকায় প্রায় ২ মাইল দূরে দেয়াড়া হাইস্কুলের শহিদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে হয়। সরকারের কাছে শহিদ মিনার নির্মাণের দাবি আমাদের দীর্ঘ দিনের।
কলারোয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হামিদ বলেন, দু’বছর পূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশল অধিদপ্তরে তালিকা পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনো কোন সাড়া পাইনি।
কলারোয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর হোসেন জানান, উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই। তবে যাতে সকল প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার তৈরি হয়, সে ব্যাপারে স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করছি।